হযরত আলী হিরু, পিরোজপুর ॥ পিরোজপুরের স্বরূপকাঠিতে মো. নাসির (৩৫) নামের এক যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নাসির উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের অলংকারকাঠি গ্রামের মো. সেকেন্দার মিয়ার ছেলে।
বুধবার পিরোজপুরে নাসিরের লাশের ময়না তদন্ত করা হয়েছে। নিহত নাসিরের চাচাতো ভাই মো. ফজলুল হক জানান, নাসির তার বাবার একমাত্র ছেলে সে রাবার ঘামের নেশায় আসক্ত হয়ে বিগত কয়েক বছর পর্যন্ত কোন কাজকর্ম করেনা। এ কারনে তার স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে গেছে। সেই থেকে নাসির কিছুটা মানষিকভাবেও বিকারগ্রস্থ ছিলো।
তার ৯ বছরের একটি মেয়ে ও ৭ বছরের একটি ছেলে রয়েছে। সন্তান দুটিকে নাসিরের মা লালন পালন করছেন।
গত সোমবার দিবাগত রাতে নাসির বাসা থেকে বের হয়ে ওই রাতে আর বাসায় ফিরে জায়নি। পরদিন মঙ্গলবার সকালে নাসিরের মা জাহানারা বেগম নাসিরের মেয়েকে নিয়ে নাসিরের খোঁজে বের হলে প্রতিবেশি জামাল মিয়ার পুকুরে তার লাশ ভাসতে দেখে চিৎকার দেয়।
তাদের ডাক চিৎকারে নিহতের চাচাতো ভাই ফজলুল হক সহ প্রতিবেশিরা এগিয়ে গিয়ে থানা পুলিশে খবর দেয়।
খবর পেয়ে নেছারাবাদ থানার এসআই মো. সাহাবউদ্দিনের নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে সুরাতহাল শেষে থানায় নিয়ে আসে।
নেছারাবাদ থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের শেষে বুধবার পিরোজপুর মর্গে নাসিরের লাশের ময়না তদন্ত করা হয়।
এ ব্যাপারে নেছারাবাদ থানার ওসি আবির মোহাম্মদ হোসেন বলেন, নিহত নাসির নেশাগ্রস্থ ছিলো বলে তার পরিবার ও এলাকাবাসীর কাছ থেকে জানা গেছে।
যে পুকুর থেকে নাসিরের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে সেই পুকুরের পাড়ে নেশা করার রাবার ঘামযুক্ত পলিথিন উদ্ধার করা হয়েছে।
প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে নেশা করে পুকুরে পড়েই তার মৃত্যু হয়েছে। ময়না তদন্ত রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর সঠিক কারন সম্পর্কে জানা যাবে।