নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর উত্তরায় নলতা শরীফ কেন্দ্রীয় আহ্ছানিয়া মিশন প্রাঙ্গণে দিনব্যাপী বিনামূল্যে চিকিৎসা ক্যাম্পের পাশাপশি এক বিশেষ সেমিনার আয়োজিত হয়েছে। শিক্ষাবিদ ও সুফি সাধক খানবাহাদুর আহছানউল্লার ১৪৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ২৪ ডিসেম্বর দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা অনুষদের সাবেক ডীন এবং খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা ইনস্টিটিউটের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আবু তৈয়ব আবু আহমেদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দেশের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফির সিদ্দিক।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এই উপাচার্য প্রধান অথিতির বক্তব্যে বলেন, একদিকে একজন আধ্যাত্মিক মহাপুরুষ হিসেবে খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা যেমন সর্বজনবিদিত অন্যদিকে ব্রিটিশ-ভারতের অবিভক্ত বাংলায় মুছলিম রেনেসাঁয় তাঁর ভ‚মিকা অবিসংবাদিত। তাঁর জন্ম বঙ্গীয় মুছলমানের ইতিহাসে একটি অবিস্মরণীয় ঘটনা। ঊনবিংশ ও বিংশ শতাব্দীতে তাঁর জীবন ও কর্ম বিস্তৃত হলেও একবিংশ শতাব্দিতে তার জীবনাদর্শ আরো প্রবলভাবে প্রবাহিত। তিনি ছিলেন অবিভক্ত বাংলার শিক্ষা বিভাগের সহকারি পরিচালক। তিনি বিভাজনপূর্ব ভারতে শিক্ষা বিভাগে পরীক্ষার খাতায় রোল নম্বরসহ অসংখ্য সংস্কার সাধন করেন। তিনি আরো বলেন, ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভ‚মিকা পালন ছিল খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লার অসামান্য অবদান। আজ থেকে দেড়শ বছর আগে যে আলোকবর্তিকা নিয়ে তিনি জন্মগ্রহণ করেছিলেন সে আলোর পাদপ্রদীপে আজ সমগ্র বাংলা আলোকিত।
সেমিনারে ‘নারী শিক্ষা উন্নয়নে খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লার অবদান’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের সাবেক কীপার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলমগীর। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক এএফএম এনামুল হক, ন্যাশনাল ওসানোগ্রফিক এ্যাÐ মেরিটাইম ইনস্টিটিউটের সদস্য শেখ দলিল উদ্দীন আহম্মদ, ঢাকা মহানগর শিক্ষক সমিতির সম্পাদক শেখ মোহাম্মদ প্রমুখ।
সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউনাইটেড গ্রæপের পরিচালক আকতার মাহমুদ রানা, বাংলাদেশ মহিলা সমিতির সাধারণ সম্পাদক জনাব তানিয়া বখত ও বাংলাদেশ জাতীয় ঈমাম সমিতির যুগ্ম-সম্পাদক শাঈখ মুহাম্মদ উসমান গনী। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন নলতা শরীফ আহ্ছানিয়া মিশন মহিলা এতিমখানার সভাপতি ফরিদা রহমান খান।