হযরত আলী হিরু, পিরোজপুর ॥
ডাকাত আতঙ্কে চরম উৎকণ্ঠার মধ্য দিয়ে নির্ঘুম রাত কাটিয়েছে স্বরূপকাঠিবাসী।
মঙ্গলবার দিবাগত গভীর রাতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জনগনকে সাবধানে সতর্ক থাকতে বলে করা মাইকিং ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে উপজেলায় ডাকাত আসার খবর ছড়িয়ে পড়লে গোটা উপজেলাব্যাপি আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
জানাগেছে, গত ৪ ডিসেম্বর রবিবার মাঝরাতে উপজেলার ইন্দেরহাট বন্দরের গোডাউন সংলগ্ন খালের ঘাটে একটি স্পিডবোট ভিড়ে। স্পিডবোটটিতে মুখোশ পরিহিত কয়েকজন লোককে দেখা যায়। তবে তারা ঘাটে না নেমে সাথে সাথে স্পিডবোটটি নিয়ে ওই স্থান ত্যাগ করে। পুরো বিষয়টি সেখানে থাকা সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়ে। পরে সিসি টিভির ফুটেজটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। সেই থেকে সমগ্র উপজেলায় পাহারার তৎপরতা বাড়ায় পুলিশ প্রশাসন।
মঙ্গলবার রাতে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে জনগনকে সতর্ক থাকতে বলে সমগ্র উপজেলায় মসজিদে সহ বিভিন্ন মাধ্যমে মাইকিং করা হয়। এসময় কিছুলোক উপজেলায় ডাকাত ঢুকেছে জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোষ্ট দেয়। মুহুর্তের মধ্যে পুরো উপজেলায় খরবটি ছড়িয়ে পড়লে জনগন আতঙ্কিত হয়ে হড়ে। এক পর্যায়ে এলাকার লোকজন বিভিন্ন গ্রুপে দলবদ্ধ হয়ে বন্দর, মহল্লা ও শহরের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান এবং রাস্তায় পাহারায় নেমে পড়ে।
এদিকে গত ৩ ডিসেম্বর শনিবার পাশ্ববর্তী বরিশালের উজিরপুরের শিকারপুরে পরপর তিনটি জুয়েলারি, একটি এজেন্ট ব্যাংকিং শাখা, ওষুধের দোকান ও বিয়ে বাড়িতে চলে মুখোশধারীদের ডাকাতি। এ সংবাদ পেয়ে এলাকার লোকদের ধারনা স্পিডবোটে করে আসা মুখোশধারীরার সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের সদস্য হতে পারে।
স্পিডবোটে আসা মুখোশধারী ব্যাক্তিদের সম্পর্কে এখন পর্যন্ত কোন সুনিদৃষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি জানিয়ে নেছারাবাদ থানার ওসি আবির মোহাম্মদ হোসেন জানান, আশেপাশের বিভিন্ন এলাকায় ডাকাতির সংবাদ পেয়ে নেছারাবাদ থানা পুলিশ, এলাকার জনপ্রতিনিধি, গ্রাম পুলিশ ও সাধারণ জনগনের সমন্ময়ে এলাকায় মাইকিং করে মানুষকে সতর্ক করার পাশাপাশি পাহারার ব্যবস্থা করা হয়েছে। যাতে ডাকাতির মত কোন ঘটনা সংগঠিত হতে না পারে।